নন স্টপ বাংলাদেশ -থিমকে সামনে রেখে চলছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ । এবারের ‘ডিজিটাল ওয়াল্ডে রয়েছে ১৮ টি সেমিনার। ৪৩ জন বিদেশি বক্তা সহ প্রায় ২ শতাধিক বক্তা এসব সেমিনারে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। মেলার উদ্বোধনী দিনে ই-কমার্স কে কিভাবে গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয় করা যায় তার উপর আয়োজন করা হয় এক সেমিনারের। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উল্ল্যাহ আল মামুন ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। আরো উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ, মডারেটর আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, ডিপার্টমেন্ট অব কো অপারেটিভের মহাপরিচালক মফিজুল ইসলাম ও জোই মেনডিচ –সিইও ফেইস মার্কেট, ইউকে। সেমিনারে বলা হয় ই-কমার্স অবশ্যই দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তার জন্য অবশ্যই ই-কমার্স কে সারাদেশে সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ হিসেবে অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা শতকরা ৬৫.৭ ভাগ গ্রামাঞ্চলে বাস করে। তবে ই-কমার্স সাম্প্রতিক অগ্রগতি শুধুমাত্র শহরে এবং নিকটবর্তী শহরে দেখা যায়। সময় এসেছে রুরাল ই-কমার্স এ মনোনিবেশ করার। গ্রামে পন্যের ডেলিভারি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। না হলে সম্ভাবনাময় এ খাতে পিছিযে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। ই-কমার্স কে জনপ্রিয় করতে সচেতনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নীতি নির্ধারন এসব বিষয়গুলোকে সবার প্রথমেই বিবেচনায় আনতে হবে। সেমিনারে চীন এবং ইন্দোনেশিয়া প্রত্যান্ত অঞ্চলেও ই-কমার্স কিভাবে সফলতা পেয়েছে তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। ভোক্তা অধিকার, পেমেন্ট চ্যানেল, সচেতনতা এ বিষয়েও এই খাতে রয়েছে ব্যাপক ঘাটতি। সেমিনারে গ্রামীণ ই-কমার্সকে জনপ্রিয় করতে ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, অর্থ মন্ত্রনালয়, আইসিটি মন্ত্রনালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে একটি ই-কমার্স উইংস করার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন প্রতিটি মন্ত্রনালয় থেকে যদি একজন উর্ধতন কর্মকর্তাকে ই-কমার্সের ফোকাল পয়েন্ট করা যায় তাহলে এ খাত আরো গতিশীল হবে। গ্রামীণ ই-কমার্স নিয়ে নাহিদ রাজ্কাক বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের গ্রাম পর্যায়ের যে পেমেন্টে সার্ভিস রয়েছে তার মাধ্যমে ই-কমার্সের টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ই-কমার্সকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে হেদায়েত উল্ল্যাহ আল মামুন বলেন আলীবাবা, অ্যামাজনের মতো বড় কোম্পানিগুলো যখন এ দেশে আসবে তখন এদেশের রপ্তানী খাতের আরো উন্নয়ন হবে। তিনি আরো বলেন স্থানীয় ই-কমার্স কোম্পানিগুলোকে সর্বাত্নক সাহায্যে দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রনালয় প্রস্তুত রয়েছে। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইক্যাবের সহ সভাপতি রিজওয়ানুল হক জামি ও জোই মেনডিচ।