ক্রস বর্ডার ই-কমার্স নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছে ই-ক্যাব

ক্রস বর্ডার ই-কমার্স নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের সঙ্গে ই-ক্যাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করে।

অস্ট্রেলিয়ান ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনার ডক্টর মার্ক মরলে এর নেতৃত্বে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ান ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের আবাসিক প্রতিনিধি মিনহাজ চৌধুরী এবং ব্যবসায় উন্নয়ন ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের নেতৃত্বে বৈঠকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল হক, পরিচালক মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন ছাড়াও চাল ডাল সিইও জিয়া আশরাফ এই সৌজন্য সাক্ষাৎকারেঅংশনেন। এ সময় ই-ক্যাব জেনারেল ম্যানেজার মেহেদী হাসান ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নাহিদ হাসান রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাণিজ্য মান্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশের ই-কমার্স খাতের অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার। একই সঙ্গে এই খাতের সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে তুলতে ই-ক্যাবের ভূমিকা ও শক্ত অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন।

ডিজিটাল কমার্স নীতিমালার নিরিখে ক্রস বার্ডার ই-কমার্সের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। বক্তব্যে তিনি ব্যবসায় বান্ধব ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা উন্নয়নের বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ই-কমার্সের নীতিমালা নিয়েও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন তিনি।

ই-কমার্স আইন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এবং তথ্যসুরক্ষা আইন নিয়ে আলোচনা করেন ই-ক্যাব অর্থ সম্পাদক আব্দুল হক।

বৈঠকে ক্রস বর্ডার ই-কমার্স নীতিমালা নিয়ে রোড শো, বিজনেস ম্যাচ মেকিং অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠক নিয়ে ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বিষয়ে বলেন, ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায় সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি পোশাক, কসমেটিক্স, ভোগ্য ও কারুপণ্যের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় একটি ভালো বাজার হতে পারে বলেও আলোচনা হয়েছে। আসলে ক্রস বর্ডার ই- কমার্সে আমাদের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ জন্য ডিউটি-ফ্রি ওয়্যারহাউস তৈরি, অর্ডার পাবার পরে কাস্টমসের কাছে প্রক্রিয়াকরণের জন্যে পাঠালে তারা দ্রুত পণ্যটিকে খালাস করে দেয়ার মতো উদ্যোগ নিলেই এই বাজারে আমরা সহজে প্রবেশ করতে পারবো।

Share This:

*

*