আবারো যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় হুয়াওয়ে। গতকাল বুধবার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (www.euronews.com)। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই আদেশে স্বাক্ষর করে তিনি দেশের কম্পিউটার রক্ষায় জুরুরী অবস্থা জারি করেছেন।
আজ সেই নির্বাহী আদেশের যুক্তি খন্ডন করেছে বিসিসি অনলাইন (https://www.bbc.com/news/world-us-canada-48289550)। ওই আদেশ বলা হযেছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির জন্য হুমকি হয়ে দাড়াঁয় এমন কোনো বিদেশী টেলিকম কোম্পানীর সেবা কেউ যেন গ্রহণ না করে। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে মুলত কোন কোন টেলিকম কোম্পানীর সেবা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তবে অনেকেই ধারনা করছেন চীনের টেলিকমিউনিকেশন জায়ান্ট হুয়াওয়েকেই বোঝানো হয়েছে।
হুয়াওয়ের চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্বে হুয়াওয়ের মামলা। আবার হুয়াওয়ের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র্রের নিষেধাজ্ঞা। এসব নিয়েই হুয়াওয়ে আর যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।
ছবিঃ ইন্টারনেট
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই নির্বাহী আদেশে দেশের জন্য হুমকি হতে পারে—এমন কোনো বিদেশি টেলিকম সেবা ব্যবহার করতে দেশি কোম্পানিগুলোকে নিষেধ করা হয়। তবে ঠিক কোন দেশের কোম্পানি বা কোন টেলিকম কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি, সেটা উল্লেখ করেননি ট্রাম্প। অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ মূলত চীনের টেলিকমিউনিকেশন জায়ান্ট হুয়াওয়েকে নিয়েই।
ইতিমধ্যে অনেক দেশই হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে চীনের হয়ে নজরদারির অভিযোগ তুলেছে।
বরাবরের মতো হুয়াওয়ে তাদের বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।