আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ঢাকায় দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫৯তম কমনওয়েলথ সভা ও আইসিটি অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস ফোরাম। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহ ছাড়াও অন্যান্য দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, রেগুলেটর প্রধান, সরকারি, বেসরকারি সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তাসহ টেলিকম ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি প্রায় ২৫০-৩০০ প্রতিনিধি অংশ নেবেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। সকাল ০৯টা থেকে অনুষ্ঠিতব্য এ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমত উল্লাহ এম.পি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সিটিও এর চেয়ারম্যান ও গণতান্ত্রিক ফিজির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থ, গণউদ্যোক্তা, জনসেবা, যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী এবং দেশটির এটর্নি জেনারেল আইয়াজ সৈয়দ খাইয়ুম ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন-আইটিউর উপমহাসচিব মি. মেলকম জনসন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এবং কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গিসা ফুয়াতাই পারসেল। ফোরামের বিভিন্ন কর্ম অধিবেশন এবং কাউন্সিল মিটিং একই ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে।
সিটিও বার্ষিক ফোরাম ১৯ এ কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের সরকার, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান, অপারেটর, ইন্ডাস্ট্রি তথা সকল স্টেকহোল্ডারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফরম। এবারের এই ফোরামে ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ব্রডব্যান্ড পরিকল্পনা, বৈশ্বিক সেবা তহবিলের পরিবর্তিত ধরন, ওভার দ্যা টপ সেবা, তরঙ্গ নিরপেক্ষতার প্রভাব, সাইবার নিরাপত্তা, ডাটা সুরক্ষা নীতিমালা, ব্লক চেইন ও বৈশ্বিক সুবিধা, তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে তারুণ্যসহ বিবিধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। যার প্রতিপাদ্য বিষয় “Towards a Digital Commonwealth”।
সিটিও কাউন্সিল মিটিং হলো সিটিওর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা। এই সভাটি নিয়মিতভাবে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই সভার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বের মাত্রা নির্ধারণ, ভবিষ্যত্ কর্মসূচি প্রণয়ন ও সংগঠনের অগ্রগতি পরীক্ষা করে দেখা হয়। সংগঠনটির পরিচালনাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আর্থিক ও কৌশলগত বিষয়সমূহের পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা এবং চূড়ান্ত সুপারিশ সদস্য দেশসমূহের নিকট উপস্থাপন করা হয়।