কখন, কোথায় কি খাবেন ক্লিক করুন লেট’স ইট এ

দেশব্যাপী  কয়েক  হাজার  রেস্টুরেন্টে  বছর  জুড়েই  চলে  বৈচিত্রপূর্ন  খাবারের  মহাযজ্ঞ।  বিভিন্ন  রেস্টুরেন্টে  কারা কখন,  কতো  ছাড়  দিচ্ছে,  সাধ্যের মধ্যে  ভলো  খাবার  কোথায় আছে,  খাবার  মেনু , দরদাম ইত্যাদি তথ্য  ঘরে বসেই  জানতে  স্মার্টফোনে  লেটস  ইট (Let’s Eat)   থাকলেই  হলো।  এটি  মূলত  রেস্টুরেন্ট  মালিকদের  দ্বারা পরিচালিত  অনলাইন  মার্কেট  প্লেস  লেটস  যা  গাইড  হিসেবে  ভোজনরশিকদের  নানা  তথ্য সরবরাহ  করে  থাকে।

রেস্টুরেন্ট  বিষয়ক  দেশের পূর্নাঙ্গ  এই  মোবাইল  অ্যাপ্লিকেশন  শুধু  ভোজনরসিকরা  নয়,  রেস্টুরেন্ট  মালিকরাও ব্যবহার  করতে  পারবেন।  লেটস  ইটের  দুটি  অ্যাপ  আছে  যার  মধ্যে   একটি  এন্টারপ্রাইজ  যা  শুধু  নিবন্ধিত রেস্টুরেন্টগুলো  ব্যবহার  করতে  পারবে।  অন্যটি  কনজুমার  অ্যাপ  যা যে  কেউ  ব্যবহার  করতে  পারবে।

উদ্ভাবনী এই  মোবাইল  প্রযুক্তি  সম্প্রতি  স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো  নিয়ে  সব চেয়ে  বড় প্রতিযোগিতা  ‘ইনোভেশন  এক্সট্রিম’-এ নির্বাচিত ২৫টি নতুন উদ্যেগের মধ্যে সেরা পাঁচে  ̄স্থানে করে নিয়েছে।     লেটস  ইট  এর  এন্টারপ্রাইজ  অ্যাপপ  ব্যবহার  করে  রেস্টুরেন্টের মালিক  কর্মীরা  খুব  সহজেই  নিজের  রেস্টুরেন্টে  বিভিন্ন অফার, মুল্য ছাড়, মেনু , দাম বাড়া-কমার তথ্য নিজেই হালনাগাদ করতে পারবেন। রেস্টুরেন্টের মালিক-কর্মকর্তারা  এন্টারপ্রাইজ  অ্যাপে  নিজ ̄  ইউজার  নেম  ও  পাসওয়ার্ড  ব্যবহার  করে  যে  কোন  তথ্য  ও  ছবি  সংযুক্ত করতে  পারবেন। মাই  রেস্টুরেন্ট  প্যানেলে  গিয়ে  নিজের  রেস্টুরেন্টের  মেনু ,  খাবারের  মূল্য,  নতুন  অফার
হালনাগাদ  করতে  পারবেন।  এছাড়া  তাঁর  রেস্টুরেন্ট  কতজন  ব্যবহারকারী,  কতবার  দেখেছেন,  কত লোক  লাইক দিয়েছেন,  ইউজার রেটিং,  রিভিউ  সবকিছু  দেখতে  পাবেন।  টাইম  লাইন  মেনুতে  গিয়ে  ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে  তার রেস্টুরেন্টে  কবে  কি  ঘটেছে  তাও  জানতে  পারবেন।  রেস্টুরেন্টের  ভেতরের  ছবি  আপলোড  করা  থেকে  শুরু রেস্টুরেন্টের মেনু ও হুবহু  স্ক্যান কপি আপলোড করতে পারবেন।

এছাড়া মাই অ্যাকাউন্ট সেকশনে গিয়ে নিজের ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন। লেটস  ইটের  প্রধান  নির্বাহী  কর্মকর্তা  আরিফুর  রহমান  বলেন,
‘লেটস  ইট’কে  আমরা  শুধু  ব্যবহারকারীদের  মধ্যে সীমাবদ্ধ  না  রেখে  রেস্টুরেন্ট মালিকদের  কথাও  ভেবেছি। তাই  তাদের  জন্য আমাদের  বিশেষ  আয়োজন।  একটি
পূর্নাঙ্গ অ্যাপপ তখনই স্বার্থক হয়, যদি সেটা নিয়মিত হালনাগাদ  হয়। আর এই কাজটি আমাদের কর্মীবাহিনী ছাড়াও আমাদের  টেকিনিক্যাল  টিম  এবং  রেস্টুরেন্ট  মালিক-কর্মীরা মিলে  করবে।  এতে  আমরা  নিশ্চয়তা  দিতে  পারবো যেকোন রেস্টুরেন্টে নতুন কিছু আসা মনেই ‘লেটস ইট’।  তিনি আরো বলেন, লেটস ইট বহারকারীদের মধ্যে ব্যাপপক সাঁড়া জাগিয়েছে  মাত্র তিনমাসের মধ্যেই এর ডাউনলোড ৪০  হাজার  ছাড়িয়েছে।  আমরা  খুব  শিগগিরই  এর  আরেকটি  নতুন
সংস্করন  ছাড়তে  যাচ্ছি  যাতে  ব্যবহারকারীরা আরো চমৎকার সব অফার, তথ্য ও সেবা পাবেন।   লেটস ইটে পাওয়া যাবে রেস্টুরেন্টের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, মেনু, জিপিএস লোকেশন ইত্যাদি তথ্যাদি।

Share This:

*

*