আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ এ ই-গভার্নমেন্ট মাস্টার প্লান ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়তে ই-গর্ভানেন্স, হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপমেন্ট, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ও ইনড্রাসট্রিয়াল প্রমোশনকে কে গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনা করছি। সরকারের সব সেবা ও কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কার্যকর ও যুগপোযোগী সংযোজনের লক্ষ্য নিয়ে প্রণীত হয়েছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ মাষ্টার প্ল্যান। এই মাষ্টার প্ল্যান অনুসারেই সরকারের সব বিভাগ তাদের প্রদত্ত সেবা প্রদান করছে। সেবাগুলো আরো সমন্বিত ভাবে সম্পাদনের লক্ষে ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেক্ট (এইইএ) বাস্তবায়নেও কাজ করছে সরকার। সরকারের পরিবর্তনশীল ব্যাবস্থাপনাকে যাতে আরো আধুনিক করা যায় মুলত সে লক্ষেই এই কর্মশালার আয়োজন। তিনি আরো বলেন ই-গভার্ণমেন্ট এ কোরিয়া সরকার অনেক দুর এগিয়ে। তাইতো আমরাও কোরিয়ান সরকারের অভিজ্ঞতাকে আমাদের প্রয়োজনুসারে দেশীয় প্রেক্ষাপটে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিল ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সীর (কোইকা) অর্থায়নে এই প্রকল্প ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। প্রায় ২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার এই প্রকল্পে কোইকো দেবে ২৫ কোটি টাকা। আজকের কর্মশালা থেকে যে সব বিষয়গুলো উঠে আসবে, তা যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ই-গভার্নমেন্ট মাস্টার প্লান ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনায় সংযুক্ত করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহেশখালী দ্বীপকে আধুনিক নাগরিক সুবিধাসমৃদ্ধ একটি দ্বীপ হিসেব গড়ে তোলার কথাও জানানো হয়। পলক এই দ্বীপ কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা ভাবনার কথাও তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত কোরিয়ান দুতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কোয়াক সাম জু (kwak Sam-Ju), কোরিয়ান ইন্ট্যারন্যাশনার কোঅপারেশন এজেন্সির কান্ট্রি ম্যানেজার জই হুয়নজিও (Joe Hyungue), আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম।