ইয়াং গ্লোবাল লিডার প্রতিমন্ত্রী পলক সংবর্ধিত

শুক্রবার-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস এর মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পলক ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬ নির্বাচিত হওয়ায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠন বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্য, ই-ক্যাব, অ্যামটব, সিটিও ফোরাম ও বিডাব্লিউআইটি যৌথভাবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, বিসিএস মহাসচিব নজরুল ইসলাম মিলন, আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক, বাক্য সভাপতি আহমদুল হক ববি, ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ, বিডাব্লিউআইটি সহ-সভাপতি সোনিয়া বশির কবিরসহ সকল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রদত্ত এই স্বীকৃতিতে আমি সম্মানিত। এর মাধ্যমে বৈচিত্রপূর্ণ বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সাথে আরও বিস্তৃতভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো। আমাদের প্রযুক্তিসেবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত এবং বিশিষ্ট প্রযুক্তি-ব্যক্তিত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় পরিচালিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে ইয়াং গ্লোবাল লিডারশীপ প্লাটফর্ম তা আরও বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় একটি উন্নত ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে এবং এই প্লাটফর্মের বিশাল সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে মানুষদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসত, বাংলাদেশের সেই সকল মানুষকে আমি এই অর্জন উৎসর্গ করছি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের স্বর্ণ ভাবনা তুলে ধরা হলো।

বিডাব্লিউআইটি সহ-সভাপতি সোনিয়া বশির কবির বলেন, জুনাইদ আহ্মেদ পলকের এই স্বীকৃতি পাওয়ায় মাইক্রোসফট বাংলাদেশকে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সম্ভাবনাময় দেশের একটি মনে করছে।

বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সুযোগ্য সন্তান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পর যে ব্যক্তির হাত ধরে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এই পর্যন্ত এগিয়েছে তিনি হলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের দেওয়া এই স্বীকৃতি শুধু তাঁকে নয় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত, গোটা জাতি তথা বাংলাদেশের একটি বড় অর্জন। আমরা প্রত্যাশা করি এই স্বীকৃতির মাধ্যমে তিনি আরও উদ্যমতার সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরাণিত করবেন।

বিসিএস মহাসচিব নজরুল ইসলাম মিলন বলেন, এই অর্জনের মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রী তার মেধা, অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে বিরামহীন পথচলাকে আরও দ্রুতগতি করবেন।

আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক বলেন, বিশ্ব এখন বাংলাদেশকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। প্রতিমন্ত্রীর এই প্রাপ্তিতে আমরা এমনভাবে অনুপ্রাণিত যে আগামীতে আমাদের ছেলেমেয়েরা ভবিষৎ-এ একেকজন পলক হতে চাইবে।

বাক্য সভাপতি আহমদুল হক ববি বলেন, এই অর্জনের মাধ্যমে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সম্প্রসারণ আরও বেগবান হবে।

ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, প্রতিমন্ত্রী লিডারশীপের যথাযথ স্বীকৃতি পেয়েছেন। আশাকরি আগামীতেও এভাবে তার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিও’র সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, বেসিসের সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বক্তব্য রাখেন।

সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের ওয়েবসাইটে ৪০ বছরের কম বয়সী বিশ্বের অন্যান্য যুব বিশ্ব নেতাদের সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করে। তাঁর নেতৃত্বগুণ, পেশাদারী কর্মসম্পাদন, সমাজের প্রতি অঙ্গীকার এবং আগামীর পৃথিবী রূপায়নে সম্ভাব্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননায় ভ‚ষিত করেছে। এই নির্বাচনের ফলে জুনাইদ আহ্মেদ পলক আগামী পাঁচ বছর ফোরামের সকল কনফারেন্স ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন এবং উক্ত ফোরাম নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গের অনন্য উদ্যোগে সহযোগিতা করবেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০৭ সালে মর্যাদাপূর্ণ এই স্বীকৃতি পান। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ, ই-কমার্স সাইট আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা, ভারতীর রাজনীতিবিদ রাহুল গান্ধী, হিলারি ক্লিনটনের কন্যা চেলসি ক্লিনটন এবং খ্যাতিমান অভিনেতা লিউনার্দো ডি ক্যাপ্রিউ’র মতো প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গও বিভিন্ন সময়ে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

Share This:

*

*