রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত তিন দিনের ‘টেকশহর ডটকম ল্যাপটপ ফেয়ার ২০১৬’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তবে সকাল ১০টা থেকেই মেলা সবার জন্য উম্মুক্ত করা হয়।
বিআইসিসির উইন্ডি টাউন হলে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার ও বিসিএস সভাপতি আলী আশফাক। এছাড়া এক্সপো মেকারের পরিচালনা বিভাগের প্রধান ও মেলার সম্বনয়ক নাহিদ হাসনাইন সিদ্দিকী, এইচপির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সালাউদ্দিন মো. আদিল, ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আতিকুর রহমান, আসুসের কান্ট্রি প্রোডাক্ট ম্যানেজার মো. আল ফুয়াদ, এসারের সেলস কনসালট্যান্ট সাকিব হাসান, ওয়ালটন গ্রæপের প্রিন্ট ও মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ন কবির, লেনোভোর সেলস ম্যানেজার রাশেদ কবির ও লাভার মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মো. জোবায়ের।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রযুক্তিভিত্তিক দেশ গঠনে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক ঘোষণা দিতে হবে। বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবী এখন প্রযুক্তি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি মানুষের কাছে প্রযুক্তির কল্যাণ পৌছাতে ইন্টারনেটকে সাংবিধানিকভাবে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করার বিকল্প নেই।
স্থানীয় পর্যায়ে প্রযুক্তির প্রসারের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষ পৃথিবীর অনেক বড় দেশের চেয়ে বড় সম্পদ। সবার কাছে প্রযুক্তিকে সহজলভ্য করলেই হবে না, এর স্থানীয়করণের উপর নজর দিতে হবে।
বিশেষ অতিথি বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারের আকার ইউরোপের বাজারের চেয়ে বড়। ষোল কোটি মানুষের এই বাজারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানরা পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করতে পারে। তাহলে সাধারণ মানুষের লাগালে প্রযুক্তি পণ্যকে নিয়ে যাওয়া আরও সহজতর হবে। সা¤প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন উল্লেখ করে এই প্রযুক্তিবিদ বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তির যে অগ্রগতি হয়েছে তার সিংহভাগ হয়েছে বিগত সাত বছরে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের প্রযুক্তিভিত্তিক বাজারের আকার ছিলো ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৬ সালে এসে আমরা ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বাজারের কথা বলতে পারছি।
বিসিএস সভাপতি আলী আশফাক বলেন, প্রযুক্তিভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবধান কমাতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে প্রযুক্তিকে নিয়ে যাওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে সাধ্যের মধ্যে হালনাগাদ প্রযুক্তিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এক্ষেত্রে আমাদের স্থানীয় পর্যায়ের প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এক্সপো মেকারের আয়োজনে এটি দেশের ১৮ তম ল্যাপটপ প্রদর্শনী। এবারের আয়োজনে ১টি মেগা প্যাভিলিয়ন, ৬টি প্যাভিলিয়ন, ৬টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৪৪ স্টলে দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তির পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে।