আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সম্পদ বিকাশে ই-জেনারেশন

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সঃ দি নেক্সট বিগ থিং ইন বাংলাদেশ শিরোনামে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং বাংলাদেশে এর সম্ভাবনা নিয়ে গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে তথ্য প্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ই-জেনারেশন লিমিটেড। সোমবার ঢাকার কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এ গোল টেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এআই প্রযুক্তির বিভিন্ন ধরনের সুবিধা এবং বিভিন্ন সেক্টরে এর ব্যবহারে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় মেতে উঠেন বক্তারা। এছাড়াও বক্তারা ডিপ লার্ণিং ভিত্তিক নতুন প্রযুক্তি সমুহ, আইওটি এবং সেন্সর নিয়েও বিশদ আলোচনা করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার। আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিসি এর সাবেক এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পলিসি অ্যাডভাইসর আনির চৌধুরি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, বিসিস এর পরিচালক (ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার) তারেক বরকতউল্ল্যাহ ও এনডিভিআর এর ডিপ লার্ণিং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শেহজাদ নুর তাউস। মোস্তফা জব্বার বলেন, আইটি এর অনস্বীকার্যি ভবিষৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স(এআই) এবং এই বিশ্ব আরও ভালো বিছুর জন্য পরিবর্তন হচ্ছে। বেসিস তার নীতিগত জায়গা থেকে আইওটি, এআই, রোবোটিক্স এবং অনেক সর্বশেষ প্রযুক্তি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় আমরা প্রকল্পগুলোর উদ্দ্যোগ গ্রহণ করবো, যাতে আমাদের স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা অনুধাবন করতে পারেন এবং এটি আমাদের আর্ন্তজাতিক বাজারে একটি নিরাপদ অবস্থান অর্জন করতে সাহায্যে করবে।

ই-জেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, এআই প্রযুক্তি বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবহার করা যেতে পারে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের বাংলাদেশী মেধাবী তরুণরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ই-জেনারেশনে আমরা বাংলার জন্য ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসর (এনএলপি) প্রস্তুত করছি, যা মেশিন লার্নিং এবং এআই এর সাথে সমন্বিত। আমাদের জনগণকে এআই সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রমে অনুপস্থিত।

গোলটেবিল আলোচনায় বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ টেক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা ল্যাব চালু করেছে। আগামী বছরগুলোতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এবং মেশিন লার্ণিং চালিত সম্ভাবনাময় ইকনোমি তৈরি করতে আমাদের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এ ক্ষেত্রে একাডেমিয়া, আইসিটি বিভাগ এবং এ টু আইয়ের সহয়োগিতায় ই-জেনারেশন এ ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে এবং বাংলাদেশকে একটি এআই হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে। জীবনকে সহজতর করতে যেসব টুলস, অ্যাপ, গ্যাজেট এবং সেবাসমুহ ব্যবহার করা হয় বর্তামানে তার মুল উপকরনই হলো অার্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স। সম্প্রতি ব্যবসাগুলোতেও এটি আমুল পরিবর্তন আনছে। এআই গবেষণায় উঠে এসেছে ৫৮ % ব্যবসা এআই প্রযুক্তির তবে মাত্র ১২ % এই প্রযুক্তিতে সঠিক ভাবে ব্যবহার করছে।

Share This:

*

*