অ্যাপস মনিটাইজেশন

অ্যাপস ও গেইমস ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আয় বা মনিটাইজেশন নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেসিস বৈঠকখানায় আয়োজিত এই সেমিনারে বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ শতাধিক অ্যাপস ও গেইম ডেভেলপার অংশ নেন। বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেসিসের সহ-সভাপতি ও বেসিসের মোবাইল অ্যাপস ও গেইমস সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক এম রাশিদুল হাসান। আলোচক হিসেবে ছিলেন হামজা গেইমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা মো. রুবেল হামজা ও রিভেরি কর্পোরেশনের অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার অনিন্দ্য দ্যুতি ধর। বক্তব্য রাখেন বেসিসের মোবাইল অ্যাপস ও গেইমস সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবদুল হক অনু ও মোহাম্মাদ শাহজালাল।

বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, আমরা মোবাইল অ্যাপস ও গেইমসের ডেভেলপমেন্টকেই গুরুত্ব দিই। কিন্তু ঐ মোবাইল অ্যাপস ও গেইমসের সফলতার জন্য এর বিপণনে (মার্কেটিং) বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। আমি মনে করি, ডেভেলপমেন্টে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাজেট ও বিপণনে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বাজেট খরচ করা প্রয়োজন। বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান বলেন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সাথেই আমরা অ্যাপস ও গেইম ডেভেলপমেন্ট শুরু করেছি। সঠিক পরিকল্পনা, অ্যাপস স্টোর থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবসহ বেশ কয়েকটি কারণ থাকা ¯^ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের মোবাইল অ্যাপস ও গেইম ডেভেলপমেন্টের উন্নয়নে বেসিস কাজ করছে। আগামীতেও ট্রিলিয়ন ডলারের অ্যাপস ও গেইমসের বাজারে বাংলাদেশের দৃশ্যমান অংশগ্রহণে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

সেমিনারে আলোচকরা জানান, দেশে ভালো অ্যাপস ও গেইম ডেভেলপার থাকলেও বিশ্বব্যাপী গেইমের বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ খুবই কম। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপস বিক্রির সুযোগ না থাকায় অনেকেই এক্ষেত্রে টিকতে পারছেন না কিংবা বিমুখ হচ্ছেন। তবে দীর্ঘমেয়াদী ও কৌশলগত পরিকল্পনা, অ্যাপস ও গেইমসের বিপণন এবং সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশ এই খাতে বড় অবদান রাখতে পারবে।

Share This:

*

*