অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান হলেন হুয়াওয়ে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর

তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এবং একই সঙ্গে বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান মিলে হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে সামনের দিকে। সে লক্ষ্যই  হুয়াওয়ে তাদের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করেছে।

ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স যেমন পুরো বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছে ঠিক তেমনি হুয়াওয়ে ব্র্যান্ড পণ্যের পারফরম্যান্সও সমান্তরালভাবে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে চলেছে সফলতার সঙ্গে। হুয়াওয়ের পণ্য ও সেবার মান সবসময়ই সেরা আর এ ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটি। মাঠে সাকিব আল হাসান বোলিং এবং ব্যাটিং-এর চমৎকার সন্নিবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষের কাছে সুপরিচিত। এসব বিষয় বিবেচনা করেই দেশের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আইসিটি ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ে টেকনলোজিস (বাংলাদেশ)-এর প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা ঝাও হাওফু বলেন, নতুনত্ব ও উদ্ভাবণী প্রযুক্তি তৈরিতে সবসময় এগিয়ে রয়েছে হুয়াওয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ অপারেটরদের পাশাপাশি সমান্তরালভাবে বাংলাদেশের গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকসহ বিভিন্ন অপারেটরের নেটওয়ার্ক সল্যুশনস সেবা দেয়ার মধ্য দিয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপনা ও কারিগরি সেবায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছি আমরা। অন্যদিকে গুগলের সঙ্গে মিলে নতুন নেক্সাস সিক্স পি তৈরি করেছি আমরা। এছাড়া বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ-বেঞ্জ ও অডিসহ বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে গাড়ির ইন্টারনেট অব ভেলিক্যাল (আইওভি) পণ্য তৈরি এবং সরবরাহ করছি আমরা।

সাকিব আল হাসানকে হুয়াওয়ে টেকনলোজিস (বাংলাদেশ)-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত করা প্রসঙ্গে ঝাও হাওফু বলেন, মূলত দেশের মানুষের কাছে আমাদের ব্র্যান্ডকে আরো বেশি আলোকিত করতে কাজ করবেন সাকিব যাতে করে সেরা একটি আইসিটি ব্যান্ডের সঙ্গে এদেশের মানুষ আরো বেশি পরিচিত হতে পারে। সাকিব এবং হুয়াওয়ের পারি দেয়া উজ্জল পথের প্রতি সন্মান জানিয়ে ভবিষ্যতে সাফলতার চরম শিখরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করব আমরা। আর এর মধ্য দিয়ে ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং আইসিটিতে বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডের নতুন ইনিংসের শুরু হয়ে গেলো।

হুয়াওয়ে সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আইসিটিতে নতুনত্ব ও উন্নতমান বজায় রেখে আধুনিক ডিভাইস, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও সেবা নিয়ে এসেছে। বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ হুয়াওয়ের সল্যুশনস, পণ্য ও সেবা ব্যবহার করছে। এছাড়া বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের বাজারে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হুয়াওয়ে। আমার ক্যারিয়ারের সফলতা বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতে দেশের মানুষের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিৎ করার পাশাপাশি দেশ ও দেশের বাইরে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করব বলেন সাকিব আল হাসান।

হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে খেলার মাধ্যমে মানুষ জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারে। এজন্য সব খেলা বিশেষ করে ক্রিকেটের প্রতি আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। সারাবিশ্বের বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয় এই ক্রিকেট।

শ্রেষ্ঠত্ব, নতুনত্ব ও প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে যাওয়ার মাধ্যমে হুয়াওয়ে বিশ্বের প্রধান তিনটি স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একটিতে পরিণত হয়েছে। মেইট, পি ও জি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ মডেলের অসাধারণ পারফরমেন্স ও ডিজাইনের নৈপূণ্য সারাবিশ্বের উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় ও সেরা মোবাইল ডিভাইসে পরিণত হয়েছে। যেসব স্মার্ট প্রফেশনাল নতুন স্টাইল ও নতুন সব সেবার দিকে ঝুঁকছেন তাদের জন্য রয়েছে মেইট এইট। গত ২৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ৩ মিলিয়ন মেইট ৮ রপ্তানি করেছে হুয়াওয়ে।

Share This:

*

*