অর্থের আদান-প্রদানে গোটা বিশ্ব যখন অনলাইনকেই বেছে নিয়েছে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে কেন-পলক

দেশের ই-কমার্স খাতকে সুষ্ঠ নীতিমালার আওতায় আনার লক্ষ্যে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর উদ্দ্যেগে গতকাল রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ই-কমার্স পলিসি কনফারেন্স।

কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি  বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন অর্থের আদান-প্রদানে গোটাবিশ্ব যখন অনলাইনকেই বেছে নিয়েছে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে কেনো। আমরাও এ ক্ষেত্রে অনেক অনেক দুর এগিয়েছে যার প্রমান স্বরুপ হলো এই ই-কমার্স।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো  উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, অ্যাসোসিওর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি, ই-ক্যাবের সভাপতি রাজীব আহমেদসহ আরও অনেকে। লোকাল অ্যান্ড ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ, বিজনেস লিডারশিপ  ডায়ালগ  অন  ই-কমার্স  এবং অনলাইন পেমেন্ট অ্যান্ড ট্রানজেকশন বিষয়ভিত্তিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় পলিসি কনফারেন্সে।

ই-ক্যাবের বিজনেস লিডারশিপ  ডায়ালগ  অন  ই-কমার্স  বিষয়ভিত্তিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন ই-কমার্সের ভিত্তি গড়ে তুলতে প্রথমেই প্রয়োজন ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি। এই প্রাথমিক কাজ আমরা করে দিয়েছি। এখন উদ্যোক্তাদের ই-কমার্সের মূলভিত্তি তৈরি করতে হবে। তিনি আরো বলেন ই-কমার্স খাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন । এই খাতে সবাইকে নিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। বাজার প্রতিযোগিতাপূর্ণ করতে হবে। এটা আমাদের কাজ। আমরা এটা করে দেব। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন দেশে ৯ হাজার ৮৮৬ টি পোস্ট অফিস আছে। এই পোষ্ট অফিস গুলোকে ই-কমার্সের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।

ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, আমরা এরই মধ্যে নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করেছি। আজকের  প্রাপ্ত অভিমত, সুপারিশ নীতিমালায় যুক্ত করে তা আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়া হবে। এরপর বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হতে পারে।

Share This:

*

*